পেঁয়াজ
পেঁয়াজ
ছাড়া
কি
মাংস
রান্না
মজা
হয়?
মাংস
রান্নার স্বাদ
বাড়ানোর অন্যতম
একটি
উপাদান
হলো
পেঁয়াজ। পেঁয়াজ
বেটে
কিংবা
কুচি
করে
দেয়া
হয়
মাংস
রান্নায়। পেঁয়াজ
দিলে
ঝোলটা
কিছুটা
ঘন
হয়
এবং
রান্নার স্বাদ
ও
ঘ্রাণ
বাড়ে।
সারা
বিশ্বেই পেঁয়াজের চাষ
হয়
এবং
বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয়।
ধারণা
করা
হয়
তাম্র
যুগ
থেকেই
খাবারে
পেঁয়াজ
ব্যবহারের সূচনা
হয়।
পরবর্তিতে প্রাচীন মিশরে
পেঁয়াজ
ব্যবহারের ইতিহাস
পাওয়া
যায়।পেঁয়াজ হার্টের জন্য
ভালো।
এছাড়াও
নিয়মিত
পেঁয়াজ
খেলে
ঠান্ডা
লাগার
প্রবণতা কমে
যায়।
পেঁয়াজ
বাত
উপসমের
জন্য
ভালো।
পেঁয়াজ
যৌন
স্বাস্থ্য ভালো
রাখতেও
সহায়তা
করে।
আদা
আদা
সর্বপ্রথম দক্ষিন
এশিয়াতে আদার
চাষ
শুরু
হয়।
পরবর্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায়
আদা
চাষের
প্রচলণ
ছড়িয়ে
পরে।
এশিয়ার
প্রতিদিনের রান্নায় কোনও
না
কোনও
খাবারে
আদার
উপস্থিতি থাকে।
মাংস
রান্নায় আদা
বাটা
না
দিলে
এর
স্বাদ
ও
গন্ধ
অপূর্ণ
থেকে
যায়।আদা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমানোর
পাশাপাশি মেটাবলিজিম বাড়ায়
এবং
ক্যান্সার সেল
ধ্বংস
করতেও
সমান
উপযোগী। বিভিন্ন টিউমারের বৃদ্ধি
কমাতেও
সহায়তা
করে
আদা।
এছাড়াও
সর্দি
কাশিতে
আদা
বেশ
উপকার
দেয়।
রসুন
রসুন
হলো
একটি
ঝাঁঝালো মশলা।
ধারণা
করা
হয়
এর
উৎপত্তি স্থল
ছিলো
দক্ষিন-পশ্চিম এশিয়াতে। মাংস
রান্নায় সাধারণত রসুন
বেটে
দেয়া
হয়।
তবে
অনেক
ক্ষেত্রে কুচি
করেও
রান্নায় দেয়া
হয়
রসুন।
অনেকে
আবার
কাঁচা
রসুন
খেয়ে
থাকে।রসুন ভেষজ ওষুধ
হিসাবে
ব্যবহৃত। রসুন
রক্তের
কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমায়,
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
এবং
হার্টের সমস্যা
সমাধানের জন্য
উপকারী
মশলা।
এছাড়াও
রসুনে
আছে
এন্টি
ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল
উপাদান।
হলুদ
হলুদ ছাড়া কোনো তরকারীর এতো সুন্দর রঙ হওয়া সম্ভব? হলুদ দেয়া হয় বলেই তো তরকারীর ঝোলটা এতো সুন্দর রঙ হয়। আর মাংস রান্না তো হলুদ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। হলুদ মাংসের স্বাদ ও সুবাস বাড়ায় এবং রান্না দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। ভারত , বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রান্নায় হলুদ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।হলুদে আছে শক্তিশালী কারকিউমিন পলিফেনল। কারকিউমিন ক্যান্সার সেলের গ্রোথকে নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রেস্ট ক্যান্সার, ব্রেন টিউমার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার এবং লিউকেমিয়ার মতো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যকারী একটি উপাদান হলো হলুদ। এছাড়াও সাধারণ কাঁটাছেঁড়ায় হলুদ এন্টিসেপ্টিকের কাজ করে।হলুদ রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং ত্বক সুন্দর করে।
হলুদ
হলুদ ছাড়া কোনো তরকারীর এতো সুন্দর রঙ হওয়া সম্ভব? হলুদ দেয়া হয় বলেই তো তরকারীর ঝোলটা এতো সুন্দর রঙ হয়। আর মাংস রান্না তো হলুদ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। হলুদ মাংসের স্বাদ ও সুবাস বাড়ায় এবং রান্না দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। ভারত , বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রান্নায় হলুদ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।হলুদে আছে শক্তিশালী কারকিউমিন পলিফেনল। কারকিউমিন ক্যান্সার সেলের গ্রোথকে নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রেস্ট ক্যান্সার, ব্রেন টিউমার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার এবং লিউকেমিয়ার মতো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যকারী একটি উপাদান হলো হলুদ। এছাড়াও সাধারণ কাঁটাছেঁড়ায় হলুদ এন্টিসেপ্টিকের কাজ করে।হলুদ রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং ত্বক সুন্দর করে।
ধনিয়া
ধনিয়া
বা
ধনে
একটি
সুগন্ধি ঔষধি
গাছ।
ধনিয়া
দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও
উত্তর
আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। ধনিয়া
পাতা
ও
বীজ-
এই
দুই
ভাবে
সাধারণত এটা
খাওয়া
হয়।
তবে
মাংস
রান্নায় সাধারণত ধনিয়া
বীজের
গুড়া
খাওয়ার
প্রচলণ
আছে।
রান্না
ছাড়াও
ধনিয়ার
বীজের
তেল
সুগন্ধিতে, ওষুধে
এবং
মদে
ব্যবহার করা
হয়।
মরিচ
যে কোনো রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর মূল উপাদান হলো মরিচ। যারা ঝাল ভালোবাসেন তাঁরা বেশি মরিচ খান আর যারা ঝাল খেতে পারেন না একেবারেই তাঁরা কিছুটা কম মরিচ দিয়েই মাংস রান্না করে। তবে একটা নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে কম মরিচ দিলে মাংসের ঝোল সুন্দর হয় না এবং খেতে ভালো লাগেনা। জানা যায়, প্রায় ৭৫০০ বছর আগে থেকেই আমেরিকার আদিবাসীরা মরিচ ব্যবহার করে আসছে। কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পরে সারা বিশ্বে মরিচ ব্যবহারের প্রচলন ছড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার রান্নার একটু মূল উপাদান হয়ে ওঠে মরিচ। কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ ও মরিচের গুড়া এই তিন ভাবেই সাধারণত মরিচ খাওয়া হয়।কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী। এছাড়াও মরিচ খাবারের রুচি বাড়ায় ও ক্ষুদা মন্দা দূর করতে ভূমিকা রাখে। মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
জিরা
প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন খাবারে জিরা ব্যবহার করা হতো। খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দতে ভারতে জিরার চাষ শুরু হয়। এছাড়াও প্রাচীন মিশরেও জিরার ব্যবহারের কথা উল্ল্যেখ করা আছে। প্রাচীন কালে গ্রীকরা তাদের খাবার টেবিলে একটি বয়ামে করে জিরা গুড়া রাখতো সব সময়। পরবর্তিতে এই প্রচলন মরক্কোতেও চালু হয়।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জিরাতে রয়েছে থাইমোকুইনান নামক এক যৌগ যা প্রস্টেট ক্যান্সারের জন্যে দায়ী সেলের শরীরে ছড়িয়ে পড়া আটকায়।এছাড়াও জিরা হজমে সাহায্য করে, রুচি বাড়ায় ও বমি ভাব দূর করে।
এলাচ
মরিচ
যে কোনো রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর মূল উপাদান হলো মরিচ। যারা ঝাল ভালোবাসেন তাঁরা বেশি মরিচ খান আর যারা ঝাল খেতে পারেন না একেবারেই তাঁরা কিছুটা কম মরিচ দিয়েই মাংস রান্না করে। তবে একটা নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে কম মরিচ দিলে মাংসের ঝোল সুন্দর হয় না এবং খেতে ভালো লাগেনা। জানা যায়, প্রায় ৭৫০০ বছর আগে থেকেই আমেরিকার আদিবাসীরা মরিচ ব্যবহার করে আসছে। কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পরে সারা বিশ্বে মরিচ ব্যবহারের প্রচলন ছড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার রান্নার একটু মূল উপাদান হয়ে ওঠে মরিচ। কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ ও মরিচের গুড়া এই তিন ভাবেই সাধারণত মরিচ খাওয়া হয়।কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী। এছাড়াও মরিচ খাবারের রুচি বাড়ায় ও ক্ষুদা মন্দা দূর করতে ভূমিকা রাখে। মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
জিরা
প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন খাবারে জিরা ব্যবহার করা হতো। খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দতে ভারতে জিরার চাষ শুরু হয়। এছাড়াও প্রাচীন মিশরেও জিরার ব্যবহারের কথা উল্ল্যেখ করা আছে। প্রাচীন কালে গ্রীকরা তাদের খাবার টেবিলে একটি বয়ামে করে জিরা গুড়া রাখতো সব সময়। পরবর্তিতে এই প্রচলন মরক্কোতেও চালু হয়।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জিরাতে রয়েছে থাইমোকুইনান নামক এক যৌগ যা প্রস্টেট ক্যান্সারের জন্যে দায়ী সেলের শরীরে ছড়িয়ে পড়া আটকায়।এছাড়াও জিরা হজমে সাহায্য করে, রুচি বাড়ায় ও বমি ভাব দূর করে।
এলাচ
নামকরণ-
ফল বহণকারী পুষ্পমঞ্জরীদুটি 'এলাইয়া পড়ে' বলে
এর নাম 'এলাচ' হয়েছে
। দ্রাবিড়-ভাষায়
এই রকম অবস্থাকে 'এলা'
বলে । এলাচের
আরেকটি নাম 'এলা' ।
ব্যবহার্য অংশ - এলাচের কাত্থ,
এলাচ চূর্ণ, এলাচের তৈল
।
এলাচ কাত্থের প্রস্তুত প্রণালী - ২টি বড় এলাচ খোসা সমেত চন্দনের মতন বেটে, এক কাপ জলে গুলে, ছেঁকে সেই জলটি খেতে হবে ।
ব্যবহার :-
১। বাতজীর্ণে - পেটে বায়ু জমে নিঃসারিত না হলে এলাচের কাত্থ এক কাপ সকালের দিকে একবার খেতে হবে ।
২। হজমের গোলযোগ - খালি পেটে এক কাপ এলাচের কাত্থ ।
৩। কোষ্ঠবদ্ধতা - এক গ্লাস ইষত্ ঊষ্ণ এলাচের কাত্থ, একবার ।
৪। শ্বাসকষ্টে ( ব্রঙ্কিয়াল এজমা ) - ২টি ছোট এলাচের এবং ২টি বড় এলাচের একসঙ্গে কাত্থ করে, এক কাপ সেবন ।
৫। হাঁপানি বা কার্ডিয়াক এজমা - সমপরিমাণ পিপুল- ও ছোট এলাচ- চূর্ণ অল্প ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে ।
৬। গা-হাত-পায়ে ব্যাথায় বা যন্ত্রণায় - বড় এলাচের কাত্থ দিনে দু'বার খেতে হবে ।
৭। খিঁচ ধরা ব্যথায় - ছোট বা বড় এলাচের কাত্থ ।
বাহ্য ব্যবহার - চুলকানিতে বড় এলাচের কাত্থ বা বাটা গায়ে মেখে ঘণ্টাখানেক পর ধুয়ে ফেলতে হবে ।
এলাচ কাত্থের প্রস্তুত প্রণালী - ২টি বড় এলাচ খোসা সমেত চন্দনের মতন বেটে, এক কাপ জলে গুলে, ছেঁকে সেই জলটি খেতে হবে ।
ব্যবহার :-
১। বাতজীর্ণে - পেটে বায়ু জমে নিঃসারিত না হলে এলাচের কাত্থ এক কাপ সকালের দিকে একবার খেতে হবে ।
২। হজমের গোলযোগ - খালি পেটে এক কাপ এলাচের কাত্থ ।
৩। কোষ্ঠবদ্ধতা - এক গ্লাস ইষত্ ঊষ্ণ এলাচের কাত্থ, একবার ।
৪। শ্বাসকষ্টে ( ব্রঙ্কিয়াল এজমা ) - ২টি ছোট এলাচের এবং ২টি বড় এলাচের একসঙ্গে কাত্থ করে, এক কাপ সেবন ।
৫। হাঁপানি বা কার্ডিয়াক এজমা - সমপরিমাণ পিপুল- ও ছোট এলাচ- চূর্ণ অল্প ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে ।
৬। গা-হাত-পায়ে ব্যাথায় বা যন্ত্রণায় - বড় এলাচের কাত্থ দিনে দু'বার খেতে হবে ।
৭। খিঁচ ধরা ব্যথায় - ছোট বা বড় এলাচের কাত্থ ।
বাহ্য ব্যবহার - চুলকানিতে বড় এলাচের কাত্থ বা বাটা গায়ে মেখে ঘণ্টাখানেক পর ধুয়ে ফেলতে হবে ।
*বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে নেয়া তথ্য অনুযায়ী
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ ছাড়া কি মাংস রান্না মজা হয়? মাংস রান্নার স্বাদ বাড়ানোর অন্যতম একটি উপাদান হলো পেঁয়াজ। পেঁয়াজ বেটে কিংবা কুচি করে দেয়া হয় মাংস রান্নায়। পেঁয়াজ দিলে ঝোলটা কিছুটা ঘন হয় এবং রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ে। সারা বিশ্বেই পেঁয়াজের চাষ হয় এবং বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয়। ধারণা করা হয় তাম্র যুগ থেকেই খাবারে পেঁয়াজ ব্যবহারের সূচনা হয়। পরবর্তিতে প্রাচীন মিশরে পেঁয়াজ ব্যবহারের ইতিহাস পাওয়া যায়।
পেঁয়াজ হার্টের জন্য ভালো। এছাড়াও নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে যায়। পেঁয়াজ বাত উপসমের জন্য ভালো। পেঁয়াজ যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
আদা
সর্বপ্রথম দক্ষিন এশিয়াতে আদার চাষ শুরু হয়। পরবর্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় আদা চাষের প্রচলণ ছড়িয়ে পরে। এশিয়ার প্রতিদিনের রান্নায় কোনও না কোনও খাবারে আদার উপস্থিতি থাকে। মাংস রান্নায় আদা বাটা না দিলে এর স্বাদ ও গন্ধ অপূর্ণ থেকে যায়।
আদা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি মেটাবলিজিম বাড়ায় এবং ক্যান্সার সেল ধ্বংস করতেও সমান উপযোগী। বিভিন্ন টিউমারের বৃদ্ধি কমাতেও সহায়তা করে আদা। এছাড়াও সর্দি কাশিতে আদা বেশ উপকার দেয়।
রসুন
রসুন হলো একটি ঝাঁঝালো মশলা। ধারণা করা হয় এর উৎপত্তি স্থল ছিলো দক্ষিন-পশ্চিম এশিয়াতে। মাংস রান্নায় সাধারণত রসুন বেটে দেয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে কুচি করেও রান্নায় দেয়া হয় রসুন। অনেকে আবার কাঁচা রসুন খেয়ে থাকে।
রসুন ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত। রসুন রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টের সমস্যা সমাধানের জন্য উপকারী মশলা। এছাড়াও রসুনে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল উপাদান।
হলুদ
হলুদ ছাড়া কোনো তরকারীর এতো সুন্দর রঙ হওয়া সম্ভব? হলুদ দেয়া হয় বলেই তো তরকারীর ঝোলটা এতো সুন্দর রঙ হয়। আর মাংস রান্না তো হলুদ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। হলুদ মাংসের স্বাদ ও সুবাস বাড়ায় এবং রান্না দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। ভারত , বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রান্নায় হলুদ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
হলুদে আছে শক্তিশালী কারকিউমিন পলিফেনল। কারকিউমিন ক্যান্সার সেলের গ্রোথকে নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রেস্ট ক্যান্সার, ব্রেন টিউমার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার এবং লিউকেমিয়ার মতো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যকারী একটি উপাদান হলো হলুদ। এছাড়াও সাধারণ কাঁটাছেঁড়ায় হলুদ এন্টিসেপ্টিকের কাজ করে।হলুদ রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং ত্বক সুন্দর করে।
ধনিয়া
ধনিয়া বা ধনে একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। ধনিয়া দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। ধনিয়া পাতা ও বীজ- এই দুই ভাবে সাধারণত এটা খাওয়া হয়। তবে মাংস রান্নায় সাধারণত ধনিয়া বীজের গুড়া খাওয়ার প্রচলণ আছে। রান্না ছাড়াও ধনিয়ার বীজের তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়।
মরিচ
যে কোনো রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর মূল উপাদান হলো মরিচ। যারা ঝাল ভালোবাসেন তাঁরা বেশি মরিচ খান আর যারা ঝাল খেতে পারেন না একেবারেই তাঁরা কিছুটা কম মরিচ দিয়েই মাংস রান্না করে। তবে একটা নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে কম মরিচ দিলে মাংসের ঝোল সুন্দর হয় না এবং খেতে ভালো লাগেনা। জানা যায়, প্রায় ৭৫০০ বছর আগে থেকেই আমেরিকার আদিবাসীরা মরিচ ব্যবহার করে আসছে। কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পরে সারা বিশ্বে মরিচ ব্যবহারের প্রচলন ছড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার রান্নার একটু মূল উপাদান হয়ে ওঠে মরিচ। কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ ও মরিচের গুড়া এই তিন ভাবেই সাধারণত মরিচ খাওয়া হয়।
কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী। এছাড়াও মরিচ খাবারের রুচি বাড়ায় ও ক্ষুদা মন্দা দূর করতে ভূমিকা রাখে। মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
জিরা
প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন খাবারে জিরা ব্যবহার করা হতো। খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দতে ভারতে জিরার চাষ শুরু হয়। এছাড়াও প্রাচীন মিশরেও জিরার ব্যবহারের কথা উল্ল্যেখ করা আছে। প্রাচীন কালে গ্রীকরা তাদের খাবার টেবিলে একটি বয়ামে করে জিরা গুড়া রাখতো সব সময়। পরবর্তিতে এই প্রচলন মরক্কোতেও চালু হয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জিরেতে রয়েছে থাইমোকুইনান নামক এক যৌগ যা প্রস্টেট ক্যান্সারের জন্যে দায়ী সেলের শরীরে ছড়িয়ে পড়া আটকায়।এছাড়াও জিরা হজমে সাহায্য করে, রুচি বাড়ায় ও বমি ভাব দূর করে।
- See more at: http://www.timenewsbd.com/dehaghari/2013/10/15/12762#sthash.e4aueaRB.dpuf
পেঁয়াজ ছাড়া কি মাংস রান্না মজা হয়? মাংস রান্নার স্বাদ বাড়ানোর অন্যতম একটি উপাদান হলো পেঁয়াজ। পেঁয়াজ বেটে কিংবা কুচি করে দেয়া হয় মাংস রান্নায়। পেঁয়াজ দিলে ঝোলটা কিছুটা ঘন হয় এবং রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ে। সারা বিশ্বেই পেঁয়াজের চাষ হয় এবং বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয়। ধারণা করা হয় তাম্র যুগ থেকেই খাবারে পেঁয়াজ ব্যবহারের সূচনা হয়। পরবর্তিতে প্রাচীন মিশরে পেঁয়াজ ব্যবহারের ইতিহাস পাওয়া যায়।
পেঁয়াজ হার্টের জন্য ভালো। এছাড়াও নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে যায়। পেঁয়াজ বাত উপসমের জন্য ভালো। পেঁয়াজ যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
আদা
সর্বপ্রথম দক্ষিন এশিয়াতে আদার চাষ শুরু হয়। পরবর্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় আদা চাষের প্রচলণ ছড়িয়ে পরে। এশিয়ার প্রতিদিনের রান্নায় কোনও না কোনও খাবারে আদার উপস্থিতি থাকে। মাংস রান্নায় আদা বাটা না দিলে এর স্বাদ ও গন্ধ অপূর্ণ থেকে যায়।
আদা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি মেটাবলিজিম বাড়ায় এবং ক্যান্সার সেল ধ্বংস করতেও সমান উপযোগী। বিভিন্ন টিউমারের বৃদ্ধি কমাতেও সহায়তা করে আদা। এছাড়াও সর্দি কাশিতে আদা বেশ উপকার দেয়।
রসুন
রসুন হলো একটি ঝাঁঝালো মশলা। ধারণা করা হয় এর উৎপত্তি স্থল ছিলো দক্ষিন-পশ্চিম এশিয়াতে। মাংস রান্নায় সাধারণত রসুন বেটে দেয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে কুচি করেও রান্নায় দেয়া হয় রসুন। অনেকে আবার কাঁচা রসুন খেয়ে থাকে।
রসুন ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত। রসুন রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টের সমস্যা সমাধানের জন্য উপকারী মশলা। এছাড়াও রসুনে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল উপাদান।
হলুদ
হলুদ ছাড়া কোনো তরকারীর এতো সুন্দর রঙ হওয়া সম্ভব? হলুদ দেয়া হয় বলেই তো তরকারীর ঝোলটা এতো সুন্দর রঙ হয়। আর মাংস রান্না তো হলুদ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। হলুদ মাংসের স্বাদ ও সুবাস বাড়ায় এবং রান্না দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। ভারত , বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রান্নায় হলুদ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
হলুদে আছে শক্তিশালী কারকিউমিন পলিফেনল। কারকিউমিন ক্যান্সার সেলের গ্রোথকে নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রেস্ট ক্যান্সার, ব্রেন টিউমার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার এবং লিউকেমিয়ার মতো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যকারী একটি উপাদান হলো হলুদ। এছাড়াও সাধারণ কাঁটাছেঁড়ায় হলুদ এন্টিসেপ্টিকের কাজ করে।হলুদ রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং ত্বক সুন্দর করে।
ধনিয়া
ধনিয়া বা ধনে একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। ধনিয়া দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। ধনিয়া পাতা ও বীজ- এই দুই ভাবে সাধারণত এটা খাওয়া হয়। তবে মাংস রান্নায় সাধারণত ধনিয়া বীজের গুড়া খাওয়ার প্রচলণ আছে। রান্না ছাড়াও ধনিয়ার বীজের তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়।
মরিচ
যে কোনো রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর মূল উপাদান হলো মরিচ। যারা ঝাল ভালোবাসেন তাঁরা বেশি মরিচ খান আর যারা ঝাল খেতে পারেন না একেবারেই তাঁরা কিছুটা কম মরিচ দিয়েই মাংস রান্না করে। তবে একটা নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে কম মরিচ দিলে মাংসের ঝোল সুন্দর হয় না এবং খেতে ভালো লাগেনা। জানা যায়, প্রায় ৭৫০০ বছর আগে থেকেই আমেরিকার আদিবাসীরা মরিচ ব্যবহার করে আসছে। কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পরে সারা বিশ্বে মরিচ ব্যবহারের প্রচলন ছড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার রান্নার একটু মূল উপাদান হয়ে ওঠে মরিচ। কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ ও মরিচের গুড়া এই তিন ভাবেই সাধারণত মরিচ খাওয়া হয়।
কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী। এছাড়াও মরিচ খাবারের রুচি বাড়ায় ও ক্ষুদা মন্দা দূর করতে ভূমিকা রাখে। মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
জিরা
প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন খাবারে জিরা ব্যবহার করা হতো। খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দতে ভারতে জিরার চাষ শুরু হয়। এছাড়াও প্রাচীন মিশরেও জিরার ব্যবহারের কথা উল্ল্যেখ করা আছে। প্রাচীন কালে গ্রীকরা তাদের খাবার টেবিলে একটি বয়ামে করে জিরা গুড়া রাখতো সব সময়। পরবর্তিতে এই প্রচলন মরক্কোতেও চালু হয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জিরেতে রয়েছে থাইমোকুইনান নামক এক যৌগ যা প্রস্টেট ক্যান্সারের জন্যে দায়ী সেলের শরীরে ছড়িয়ে পড়া আটকায়।এছাড়াও জিরা হজমে সাহায্য করে, রুচি বাড়ায় ও বমি ভাব দূর করে।
- See more at: http://www.timenewsbd.com/dehaghari/2013/10/15/12762#sthash.e4aueaRB.dpuf
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ ছাড়া কি মাংস রান্না মজা হয়? মাংস রান্নার স্বাদ বাড়ানোর অন্যতম একটি উপাদান হলো পেঁয়াজ। পেঁয়াজ বেটে কিংবা কুচি করে দেয়া হয় মাংস রান্নায়। পেঁয়াজ দিলে ঝোলটা কিছুটা ঘন হয় এবং রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ে। সারা বিশ্বেই পেঁয়াজের চাষ হয় এবং বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয়। ধারণা করা হয় তাম্র যুগ থেকেই খাবারে পেঁয়াজ ব্যবহারের সূচনা হয়। পরবর্তিতে প্রাচীন মিশরে পেঁয়াজ ব্যবহারের ইতিহাস পাওয়া যায়।
পেঁয়াজ হার্টের জন্য ভালো। এছাড়াও নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে যায়। পেঁয়াজ বাত উপসমের জন্য ভালো। পেঁয়াজ যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
আদা
সর্বপ্রথম দক্ষিন এশিয়াতে আদার চাষ শুরু হয়। পরবর্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় আদা চাষের প্রচলণ ছড়িয়ে পরে। এশিয়ার প্রতিদিনের রান্নায় কোনও না কোনও খাবারে আদার উপস্থিতি থাকে। মাংস রান্নায় আদা বাটা না দিলে এর স্বাদ ও গন্ধ অপূর্ণ থেকে যায়।
আদা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি মেটাবলিজিম বাড়ায় এবং ক্যান্সার সেল ধ্বংস করতেও সমান উপযোগী। বিভিন্ন টিউমারের বৃদ্ধি কমাতেও সহায়তা করে আদা। এছাড়াও সর্দি কাশিতে আদা বেশ উপকার দেয়।
রসুন
রসুন হলো একটি ঝাঁঝালো মশলা। ধারণা করা হয় এর উৎপত্তি স্থল ছিলো দক্ষিন-পশ্চিম এশিয়াতে। মাংস রান্নায় সাধারণত রসুন বেটে দেয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে কুচি করেও রান্নায় দেয়া হয় রসুন। অনেকে আবার কাঁচা রসুন খেয়ে থাকে।
রসুন ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত। রসুন রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টের সমস্যা সমাধানের জন্য উপকারী মশলা। এছাড়াও রসুনে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল উপাদান।
হলুদ
হলুদ ছাড়া কোনো তরকারীর এতো সুন্দর রঙ হওয়া সম্ভব? হলুদ দেয়া হয় বলেই তো তরকারীর ঝোলটা এতো সুন্দর রঙ হয়। আর মাংস রান্না তো হলুদ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। হলুদ মাংসের স্বাদ ও সুবাস বাড়ায় এবং রান্না দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। ভারত , বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রান্নায় হলুদ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
হলুদে আছে শক্তিশালী কারকিউমিন পলিফেনল। কারকিউমিন ক্যান্সার সেলের গ্রোথকে নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রেস্ট ক্যান্সার, ব্রেন টিউমার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার এবং লিউকেমিয়ার মতো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যকারী একটি উপাদান হলো হলুদ। এছাড়াও সাধারণ কাঁটাছেঁড়ায় হলুদ এন্টিসেপ্টিকের কাজ করে।হলুদ রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং ত্বক সুন্দর করে।
ধনিয়া
ধনিয়া বা ধনে একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। ধনিয়া দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। ধনিয়া পাতা ও বীজ- এই দুই ভাবে সাধারণত এটা খাওয়া হয়। তবে মাংস রান্নায় সাধারণত ধনিয়া বীজের গুড়া খাওয়ার প্রচলণ আছে। রান্না ছাড়াও ধনিয়ার বীজের তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়।
মরিচ
যে কোনো রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর মূল উপাদান হলো মরিচ। যারা ঝাল ভালোবাসেন তাঁরা বেশি মরিচ খান আর যারা ঝাল খেতে পারেন না একেবারেই তাঁরা কিছুটা কম মরিচ দিয়েই মাংস রান্না করে। তবে একটা নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে কম মরিচ দিলে মাংসের ঝোল সুন্দর হয় না এবং খেতে ভালো লাগেনা। জানা যায়, প্রায় ৭৫০০ বছর আগে থেকেই আমেরিকার আদিবাসীরা মরিচ ব্যবহার করে আসছে। কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পরে সারা বিশ্বে মরিচ ব্যবহারের প্রচলন ছড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার রান্নার একটু মূল উপাদান হয়ে ওঠে মরিচ। কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ ও মরিচের গুড়া এই তিন ভাবেই সাধারণত মরিচ খাওয়া হয়।
কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী। এছাড়াও মরিচ খাবারের রুচি বাড়ায় ও ক্ষুদা মন্দা দূর করতে ভূমিকা রাখে। মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
জিরা
প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন খাবারে জিরা ব্যবহার করা হতো। খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দতে ভারতে জিরার চাষ শুরু হয়। এছাড়াও প্রাচীন মিশরেও জিরার ব্যবহারের কথা উল্ল্যেখ করা আছে। প্রাচীন কালে গ্রীকরা তাদের খাবার টেবিলে একটি বয়ামে করে জিরা গুড়া রাখতো সব সময়। পরবর্তিতে এই প্রচলন মরক্কোতেও চালু হয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জিরেতে রয়েছে থাইমোকুইনান নামক এক যৌগ যা প্রস্টেট ক্যান্সারের জন্যে দায়ী সেলের শরীরে ছড়িয়ে পড়া আটকায়।এছাড়াও জিরা হজমে সাহায্য করে, রুচি বাড়ায় ও বমি ভাব দূর করে।
- See more at: http://www.timenewsbd.com/dehaghari/2013/10/15/12762#sthash.e4aueaRB.dpuf
পেঁয়াজ ছাড়া কি মাংস রান্না মজা হয়? মাংস রান্নার স্বাদ বাড়ানোর অন্যতম একটি উপাদান হলো পেঁয়াজ। পেঁয়াজ বেটে কিংবা কুচি করে দেয়া হয় মাংস রান্নায়। পেঁয়াজ দিলে ঝোলটা কিছুটা ঘন হয় এবং রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ে। সারা বিশ্বেই পেঁয়াজের চাষ হয় এবং বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয়। ধারণা করা হয় তাম্র যুগ থেকেই খাবারে পেঁয়াজ ব্যবহারের সূচনা হয়। পরবর্তিতে প্রাচীন মিশরে পেঁয়াজ ব্যবহারের ইতিহাস পাওয়া যায়।
পেঁয়াজ হার্টের জন্য ভালো। এছাড়াও নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে যায়। পেঁয়াজ বাত উপসমের জন্য ভালো। পেঁয়াজ যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
আদা
সর্বপ্রথম দক্ষিন এশিয়াতে আদার চাষ শুরু হয়। পরবর্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় আদা চাষের প্রচলণ ছড়িয়ে পরে। এশিয়ার প্রতিদিনের রান্নায় কোনও না কোনও খাবারে আদার উপস্থিতি থাকে। মাংস রান্নায় আদা বাটা না দিলে এর স্বাদ ও গন্ধ অপূর্ণ থেকে যায়।
আদা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি মেটাবলিজিম বাড়ায় এবং ক্যান্সার সেল ধ্বংস করতেও সমান উপযোগী। বিভিন্ন টিউমারের বৃদ্ধি কমাতেও সহায়তা করে আদা। এছাড়াও সর্দি কাশিতে আদা বেশ উপকার দেয়।
রসুন
রসুন হলো একটি ঝাঁঝালো মশলা। ধারণা করা হয় এর উৎপত্তি স্থল ছিলো দক্ষিন-পশ্চিম এশিয়াতে। মাংস রান্নায় সাধারণত রসুন বেটে দেয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে কুচি করেও রান্নায় দেয়া হয় রসুন। অনেকে আবার কাঁচা রসুন খেয়ে থাকে।
রসুন ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত। রসুন রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টের সমস্যা সমাধানের জন্য উপকারী মশলা। এছাড়াও রসুনে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল উপাদান।
হলুদ
হলুদ ছাড়া কোনো তরকারীর এতো সুন্দর রঙ হওয়া সম্ভব? হলুদ দেয়া হয় বলেই তো তরকারীর ঝোলটা এতো সুন্দর রঙ হয়। আর মাংস রান্না তো হলুদ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। হলুদ মাংসের স্বাদ ও সুবাস বাড়ায় এবং রান্না দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। ভারত , বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রান্নায় হলুদ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
হলুদে আছে শক্তিশালী কারকিউমিন পলিফেনল। কারকিউমিন ক্যান্সার সেলের গ্রোথকে নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রেস্ট ক্যান্সার, ব্রেন টিউমার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার এবং লিউকেমিয়ার মতো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যকারী একটি উপাদান হলো হলুদ। এছাড়াও সাধারণ কাঁটাছেঁড়ায় হলুদ এন্টিসেপ্টিকের কাজ করে।হলুদ রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং ত্বক সুন্দর করে।
ধনিয়া
ধনিয়া বা ধনে একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। ধনিয়া দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। ধনিয়া পাতা ও বীজ- এই দুই ভাবে সাধারণত এটা খাওয়া হয়। তবে মাংস রান্নায় সাধারণত ধনিয়া বীজের গুড়া খাওয়ার প্রচলণ আছে। রান্না ছাড়াও ধনিয়ার বীজের তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়।
মরিচ
যে কোনো রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর মূল উপাদান হলো মরিচ। যারা ঝাল ভালোবাসেন তাঁরা বেশি মরিচ খান আর যারা ঝাল খেতে পারেন না একেবারেই তাঁরা কিছুটা কম মরিচ দিয়েই মাংস রান্না করে। তবে একটা নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে কম মরিচ দিলে মাংসের ঝোল সুন্দর হয় না এবং খেতে ভালো লাগেনা। জানা যায়, প্রায় ৭৫০০ বছর আগে থেকেই আমেরিকার আদিবাসীরা মরিচ ব্যবহার করে আসছে। কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পরে সারা বিশ্বে মরিচ ব্যবহারের প্রচলন ছড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার রান্নার একটু মূল উপাদান হয়ে ওঠে মরিচ। কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ ও মরিচের গুড়া এই তিন ভাবেই সাধারণত মরিচ খাওয়া হয়।
কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী। এছাড়াও মরিচ খাবারের রুচি বাড়ায় ও ক্ষুদা মন্দা দূর করতে ভূমিকা রাখে। মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
জিরা
প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন খাবারে জিরা ব্যবহার করা হতো। খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দতে ভারতে জিরার চাষ শুরু হয়। এছাড়াও প্রাচীন মিশরেও জিরার ব্যবহারের কথা উল্ল্যেখ করা আছে। প্রাচীন কালে গ্রীকরা তাদের খাবার টেবিলে একটি বয়ামে করে জিরা গুড়া রাখতো সব সময়। পরবর্তিতে এই প্রচলন মরক্কোতেও চালু হয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জিরেতে রয়েছে থাইমোকুইনান নামক এক যৌগ যা প্রস্টেট ক্যান্সারের জন্যে দায়ী সেলের শরীরে ছড়িয়ে পড়া আটকায়।এছাড়াও জিরা হজমে সাহায্য করে, রুচি বাড়ায় ও বমি ভাব দূর করে।
- See more at: http://www.timenewsbd.com/dehaghari/2013/10/15/12762#sthash.e4aueaRB.dpuf
বর্তমানে পেঁয়াজ রসুন আদার দাম দেখে ভীত হয়ে পড়ছি। আমাদের রান্নায় এই মশলা গুলো লাগেই। গুনাগুন পড়ে ভাল লাগল।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ। আমার ব্লগে ঘুরে যাওয়াতে খুশী হলাম।
মুছুনআপনার ব্লগে যদি কোন পোস্ট করতে চাই সেটা কি সম্ভব?
উত্তরমুছুন